Tuesday, September 25, 2018

রাতের পরী | ভালবাসা

রাতের পরীরা কিভাবে উড়লো, কিভাবে নিষিদ্ধ গলিতে এলো, কেও ভাবেনা। জৈবিক চাহিদা, নিষ্ঠুর বাস্তবতা কিংবা হায়ানাদের ধারালো দাবানলে ওরা ক্ষত বিক্ষত! ওদের অসহায়ত্ব কেউ দেখেনা। বন্দী পাখির মত ওরা ছটফট করে মরে। আমরা ওদের ডানা ভেঙে, খাঁচায় আঁটকে রাখি।

শুকুনীর দল মাতে উল্লাসে। ওরা পিপাসা মিটাতে ব্যস্ত । ওরা রাতের পরীদের কোলে বীজ বপন করে! জুটা আবর্জনা ডালে, আবার ওরাই ওদের “নষ্ট ” খেতাব দেয়।
চারিদিকে ধর্মের বাতাস। চারিদিকে মানবতার হুংকার। মহান ব্যক্তিদের বিশাল বিশাল বানী। ওদের বল,নেবে কি কোনো রাতের পরী কে তোমার ভালবাসার আঙিনায়??? ওরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। আহ! মানব স্বত্বা!!! আমি লজ্জিত এমন একটি সমাজের বাসিন্দা আমি, যেখানে রাতের আঁধারে নষ্ট পল্লীতে যাতায়াত বৈধ, নষ্ট পল্লীর কষ্ট গুলো কে হাত দিয়ে ছুঁয়ে যাওয়া অবৈধ!!!

আমি তাদের কথা বলছিনা, যারা শখের বশে রাতের পরী সাঝে। আমি তাদের কথা বলছি,যারা বাস্তবতার কঠিন উত্তাপের স্বীকার, যারা অনাহাড়ে প্রান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে, যাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, সুশীল সমাজের ভদ্র বেশী শকুন গুলো তাদের কে খুঁবলে খায়, তাদের কে রক্তাক্ত করে নষ্ট পল্লীতে মোহর মেরে, ছুঁড়ে ফেলে আসে।
রাতের আঁধারে নষ্ট পল্লীর কষ্ট গুলো নিয়ে আমরা খেলা করি। দিনের আলোতে তাদের ভালবেসে সমাজের একটা কলংকময় অধ্যায়ের অবসান ঘটাতে আমাদের জাত যায়, আমাদের ধর্ম যায়!! ওদের নষ্ট দেহে ভাঁজে ভাঁজে লাভার উৎপাত ঘটিয়ে প্রশান্তির হাসি ফুটে আমাদের মুখে! ওদের দেহে রচিত গদ্যের পাতায় পাতায় শুঁকিয়ে যাওয়া কষ্ট গুলো ছুঁতে ঘেন্না হয়! বাহ! চমৎকার! আমরা পারিও বটে!!

কেউ যদি মঙ্গলের আশায় অমঙ্গলকে আলিঙ্গন করে তাতে দোষের কিছুই নেই ...😊😊