Thursday, January 11, 2018

শুধু গল্প না,বাস্তবতার মুখ দেখুক প্রিয়তিরা.... | ভালবাসা (LOVE)



তুমি নিজের প্রতি এতো উদাসীন কেন?

কেন এভাবে নিজকে নিঃশেষ করে দিচ্ছো!?
জীবনের প্রতি তোমার এতো অনীহা কেন?
--এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে তোমাকে একটা প্রশ্ন করি!
বলতে পারো "কতোটুকু বেদনার বিষ গিললে!আমার শরীরটা কাতর হবে!?
--তুমি এভাবে কেন কথা বলো?তোমার প্রিয়তির খুব কষ্ট হয়!
আজ থেকে তোমার এই জীবন,শরীর,আত্না আর পঁচে যাওয়া হৃদয়টা প্রিয়তির!
প্রিয়তি আসার আগ পর্যন্ত তুমি তার এই জিনিসগুলোকে যত্নে রাখবা!
তা নাহলেপ্রিয়তি খুব কষ্ট পাবে।
--হুম,দেখে রাখবো।তবে যত্নে রাখার নিশ্চয়তা টা দিতে পারছি না।প্রিয়তি এসেই না হয় যত্নে রাখবে!
তার প্রিয়'কে।
.
.
.
.
বৃষ্টিস্নাত ভেজা সন্ধ্যায় কথাগুলো সাজ্জাদ আর প্রিয়তির মাঝে হচ্ছিলো।
আসলে,তাদের সম্পর্কটা অন্য সব সম্পর্কের মত না।তাদের মাঝে কোন রাগ,অভিমান কিংবা বিন্দুুমাত্র ঝগড়ারও স্থান নেই।
শুধু আছে হারিয়ে যাবার বিশাল শঙ্কা!
না পাওয়ার জন্য হাহাকার করার মত দু'টি বিশাল হৃদয়।
এই মূহুর্তে তারা পাশাপাশি বসে আছে,কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না।হয়তো তারা একে অপরের হৃদয় দিয়ে কথাগুলো উপলব্ধি করছে।প্রকৃতিটাও আজ খুব সুন্দর।যেন তাদের জন্যই প্রকৃতি সেজেছে নতুন ভাবে। বৃষ্টিভেজা বাতাসে প্রিয়তির চুলগুলো অবাধ্যের মত তার মুখে আঁছড়ে পরছে।দৃশ্যটা সাজ্জাদ মাঝে মাঝে আড়চোখে তাকিয়ে দেখছে।ভালোই লাগছে তার কাছে।তবুও কিছু বলছে না।নিরবতাটাকে উপভোগ করছে।আসলে,প্রিয় মানুষটা পাশে থাকলে পৃথিবীর সব বিষাদও উপভোগের!
প্রিয়তি একদিন বলেছিলো,
প্রিয়!!!
হৃদয়ের জানলাটা খুলা রেখো,কথা বলবো সব সময়!
আসলে কিছু কিছু সময় আপন মানুষদের সাথে কথা না বললেওপিনপতন নিরবতা মনের কথাগুলো বুঝিয়ে দেয়।বুঝিয়ে ভালবাসার গভীরতা কতখানি!
নিরবতা ভেঙে সাজ্জাদ- প্রথম কথা শুরু করলো,
--আচ্ছা!
আমার মিষ্টি করে বলা "প্রিয়তি " ডাকটা যখন তুমি শুনো!
তখন তোমার কেমন ফীল হয়!!?
--কেমন ফীল হয়!
তা বলে বুঝাতে পারবো না।তবে,অজানা আনন্দ আর শিহরণে আলোড়িত হয় কোমল মনটা কিন্তু.......
---কিন্তু?কিন্তু কি প্রিয়তি!!!?
--কিন্তু পরক্ষণেই তোমাকে হারাবার ভয় এসে বিষিয়ে তুলে ভিতরটাকে!
আচ্ছা!"প্রিয়,
তুমি কি আমার ভিতরের কম্পনটা অনুভব করতে পারো?
তোমার জন্য আমার হৃদয়ের হাহাকারটা কি তুমি বুঝো!?
কোন উত্তর নেই এসব প্রশ্নেরএই মুহুর্তে রি সাজ্জাদের কাছে।
উত্তরের অপেক্ষা না করেই,প্রিয়তি আবার বলতে লাগলো....
---যদি কোন দিন এই শরীরটা তুমি না- পাও!
তবে,জেনে রেখো!
মনটা সারাজীবনের জন্যই তোমার। চিরদিনের জন্য এই মনের মালিকানা আমি তোমাকে দিয়েছি।যা তোমার প্রিয়তি তোমার কাছ থেকে কখনও কেড়ে নেবে না।
হয়তো কোন সময় বাহ্যিকভাবে তোমার সাথে কথা বলতে পারবো না,কিন্তু মনটা ঠিকই তোমার সাথে কথা বলবে।তুমি চোখ বুজে তা অনুভব করো!
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি প্রিয়!!!
----আমিও যেতোমাকে অনেক ভালোবাসি প্রিয়তি!
তোমাকে হারাবার ভয় আমাকে সব-সময় ভীত রাখে।তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো!
তোমার প্রিয়'কে ছেড়ে তুমি থাকতে পারবা প্রিয়তি!?
.
.
.
.
এমন সব আকুলতা নিয়ে কথা বলে দু'টি পবিত্র হৃদয়।সারাক্ষণ বেদনাবিদূর সুখে তারা আচ্ছাদিত থাকতে চায়।তবুওপ্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়ম প্রিয়তিদের ভালো থাকতে দেয় না।
আসলে প্রকৃতি কখনও Absolute ভালোটা দেখতে পারে না।হয়তো এটাই প্রকৃতির ঈর্ষা!
তবুও,প্রিয়তিদের ভালোবাসা বেঁচে থাকবেতাদের পুড়ে যাওয়া পবিত্র হৃদয়টাতে কিংবা ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের ধ্বংসাবশেষ হয়ে।
আত্নাকে হত্যা করে প্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়মকে মেনে নিবে,পরিবার নামক সংবিধান রক্ষার জন্য...
জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থাকবে,এসব প্রিয় আর প্রিয়তিরা।হয়তো তাদের ভালোবাসার গল্পটা,
লাইলী-মজনু,শিরি-ফরহাদ,রোমিও-জুলিয়েট কিংবা চন্ডিদাস-রজকিনীদের মত ইতিহাস হবে না।কিন্তু তাদের চেয়ে বেশি হৃদয় পুড়ার গন্ধ সৃষ্টি হবে।যাপ্রিয়তিরা ছাড়া কেউ এই গন্ধ উপলব্ধি করতে পারবে না।
এই পৃথিবীতে "আত্নহত্যারপর দেহটাকে পোস্টমর্টেম করা হয়,
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয় মৃত দেহটাকে।
কিন্তু,এই নশ্বর পৃথিবীতে "আত্নাহত্যার জন্য কোন পোস্টমর্টেম করা হয় না।
দেখা হয় না এসব মৃত আত্নাগুলোকে।
যদিও,আত্নহত্যার চেয়ে আত্না হত্যার পরিমানটাই বেশি।
যদি কোন দিন এসব আত্নাকে পোস্টমর্টেম করার কোন ব্যবস্থা হতো,
তবে,শুধু পাওয়া যেতো,পুড়ে যাওয়া কিংবা রক্তাক্ত একটা হৃদয়!
হয়তো,সাজ্জাদের মত অগোছালো ছেলেদের জীবনটা গুছিয়ে দিতে বাস্তবে কোন প্রিয়তিরা আসবে না,আসতে চাইলেও প্রকৃতির কাছে হেরে যাবে প্রিয়তিরা কিংবা পরিবার নামক সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারবে না।
তবুওভালো থাকুক!
পৃথিবীর সব প্রিয়তিদের ভালোবাসার গল্প!
শুধু গল্প না,বাস্তবতার মুখ দেখুক প্রিয়তিরা.....
প্রিয়দের সাথে জীবন বিনিময়ের আশ্বাস পেয়ে যাক দুনিয়ার সকল প্রিয়তিরা......



কেউ যদি মঙ্গলের আশায় অমঙ্গলকে আলিঙ্গন করে তাতে দোষের কিছুই নেই ...😊😊